Blog
টাইট ফিটিং ব্রা রেগুলার পরলে কী কী ক্ষতি হয়?

বাইরে বের হওয়ার সময় দেখতে সুন্দর লাগবে এমন আউটফিটটাই আমরা চুজ করি। কিন্তু আউটফিট পরার আগে যে ইনার ও আন্ডার ওয়্যার আমাদের বডি শেইপকে আরও অ্যাট্রাক্টিভ করে তুলতে হেল্প করে সেটা বাছাই করার ব্যাপারে আমরা কতটা সচেতন থাকি? অনেকেই সঠিক মাপ না জানার কারণে অতিরিক্ত টাইট ব্রা ও পেন্টি পরেন। ভাবেন, বডিতে যেহেতু ফিটিং হয়ে আছে, তাহলে বডি শেইপেও কোনো সমস্যা হবে না। অথচ এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। টাইট ফিটিং ব্রা ও পেন্টি শুধু বডি শেইপ নষ্টই করে দিচ্ছে না, সাথে নানাভাবে শারীরিক ক্ষতিও করছে। আজকের আর্টিকেলে এ বিষয়েই বিস্তারিত জানাবো-
স্কিনে ইরিটেশন ও ইচিং হয়
কাজ করতে গিয়ে কিছুক্ষণ পর পর ব্রা’র স্ট্র্যাপস ও ব্যান্ড অ্যাডজাস্ট করতে হচ্ছে? এটা হতে পারে যদি আপনার ব্রা বেশি টাইট হয়। আর এই কারণে ব্রেস্টের আশেপাশে, স্ট্র্যাপস যেখানে টাইট হয়ে লেগে থাকে সেই এরিয়ায় ইচিং প্রবলেম হওয়ার সমস্যা বেড়ে যায়। অনেকের র্যাশ ওঠে, ইচিং এর এরিয়াটুকু লাল হয়ে যায়। তাই যে আউটফিটই পরা হোক না কেন, সব সময় অস্বস্তি লাগতে থাকে।
ব্রেস্টে পেইন হয়
ব্রা যদি বেশি টাইট হয় তাহলে ব্রেস্ট টিস্যু ও স্কিনে চাপ পড়ে। যার কারণে ব্রেস্টে ব্যথা হতে পারে। এমনকি ব্রেস্ট এরিয়ার টিস্যুও ড্যামেজ হতে পারে। পিরিয়ডের সময় ব্রেস্ট সাইজ কিছুটা বৃদ্ধি পায়। ব্রা টাইট হলে এ সময় বেশি ব্যথা হতে পারে। এছাড়া ব্রা’র কাপ সাইজ ছোট হওয়ার কারণে ব্রেস্টের কিছুটা অংশ বাইরের দিকে থাকে। এতে ব্রেস্টের শেইপ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই সঠিক মাপের ব্রা চুজ করা খুবই ইম্পরট্যান্ট।
বডি মার্কস ভিজিবল হয়
টাইট ব্রা’র কারণে বডিতে আনওয়ান্টেড মার্ক তৈরি হয়। এগুলো সাধারণত ব্রেস্ট লাইনে, শোল্ডারে ও ব্যাকে হয়। সময়ের সাথে সাথে দাগগুলো ডার্ক হতে থাকে, তখন সেগুলো রিমুভ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই টাইট ব্রা ইউজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
আনকমফোর্টেবল লাগে
ব্রা যদি সঠিক মাপের না হয়, অর্থাৎ বেশি টাইট হয়, তাহলে বেশ আনকমফোর্টেবল লাগে। কোনো পোশাক পরলেই ভালো লাগে না। শোল্ডারে ব্রা স্ট্র্যাপসের কারণে ব্যথা হয়, যার কারণে বার বার আপনি হাত দিয়ে স্ট্র্যাপসের জায়গা বদলাতে থাকেন। কিন্তু কোনোভাবেই কমফোর্ট ফিল হয় না। তাই টাইট ফিটিং ব্রা না পরে বেছে নিন সঠিক মাপের ব্রা।
নেক ও শোল্ডারে পেইন হয়
যদি ব্রা’র স্ট্র্যাপস ছোট ও চিকন হয়, চেস্ট ব্যান্ড অনেক টাইট থাকে এবং কাপ সাইজ ঠিক না থাকে, তখনই ব্রা টাইট হয়। আর এ কারণে শোল্ডারে চাপ পড়তে থাকে। ধীরে ধীরে শুরু হয় ব্যথা। আর এই ব্যথা তখন ছড়িয়ে যায় নেক, শোল্ডার, আপার ব্যাক ও আর্মেও। এছাড়া টাইট হওয়ার কারণে এই বডি পার্টগুলোতে ব্লাড সার্কুলেশনও ভালোভাবে হয় না।